দেশের সন্ত্রাসবাদে ইসরাইলের হাত রয়েছে : আইজিপি
দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের ইন্ধন জোগাতে ইসরাইলের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্সের কাজ করছি। জঙ্গিরা ইসলাম ও কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। মানুষকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নবনির্মিত পাগলা থানা ভবন উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি।
এ সময় পুলিশপ্রধান আরো বলেন, পুলিশ সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং সমাধান করবে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্যই থানার উদ্বোধন করা হয়েছে। গরিব ও অসহায় মানুষ যেন থানায় এসে শান্তি নিয়ে ফিরে যান।
থানা ভবন উদ্বোধন শেষে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, ময়মনসিংহ জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন, পাগলা থানার জন্য বিনামূল্যে জমিদানকারী মুরাদ আহমেদ, মাহমুদা ইদ্রিস, দত্তের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোখসানা বেগম, পাগলা থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।
গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মশাখালী, পাঁচবাগ, উস্তি, লংগাইর, পাইথল, দত্তের বাজার, নিগুয়ারী ও টাঙ্গাবর ইউনিয়ন নিয়ে পাগলা থানা গঠিত হয়।
পাগলা থানার জন্য এলাকাবাসী বিনামূল্যে তিন একর ৪০ শতাংশ জমি দান করেন। এখানেই নির্মাণ করা হয়েছে পাগলা থানা ভবন। অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে একটি পিকআপ দেওয়া হয়।
২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাগলা থানা অনুমোদনের গেজেট প্রকাশ করে। পরে ওই বছরের ২৩ মে আটটি ইউনিয়ন নিয়ে পাগলা থানার পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগ দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পাগলা থানার দ্বিতল ভবনের নির্মাণ করে।