অপহরণের ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় অপহরণের ১৯ দিন পর ইব্রাহিম খলিল নামের এক স্কুলছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কালিকাপুর এলাকার জগজীবনপুর গ্রামের চৌধুরীবাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টিউবওয়েলের গর্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম খলিল মহসিন জগজীবনপুর গ্রামের প্রবাসী আবদুল কাদেরের ছেলে। সে কালিকাপুর জাকিয়া মেমোরিয়াল কেজি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, গত ২৬ এপ্রিল ইব্রাহিম স্কুলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কয়েক দিন আগে একটি মুঠোফোন থেকে ইব্রাহিমের পরিবারের লোকজনের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন থানায় জানালে পুলিশ কললিস্ট ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ওসমানকে শনাক্ত করে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে মো. ওসমানকে এবং শুক্রবার ভোরে নোয়াখালী থেকে শাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ওসমান ও শাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইব্রাহিমকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানায় তারা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ইব্রাহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মহসিনের মুখমণ্ডল গামছা দিয়ে পেঁচানো এবং পা বাঁধা অবস্থায় ছিল বলে জানান ওসি হানিফুল।
নিহত মহসিনের বাবা আবুধাবিপ্রবাসী আবদুল কাদের জানান, অপহরণের দুই সপ্তাহ পর হঠাৎ করে মহসিনের মায়ের কাছে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে বেশ কয়েকটি কল আসে এবং মহসিনকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ইব্রাহিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, স্কুলছাত্রের হত্যার বিচারের দাবিতে আজ সকালে কালিকাপুর জাকিয়া মেমোরিয়াল কেজি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।