মানুষ খুন, নদী খুনে পার্থক্য নেই : নৌমন্ত্রী
নদীরও প্রাণ আছে। তাই মানুষ খুন করা আর নদী খুন করার মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
আজ রোববার বিকেলে মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌপথ পরিদর্শনে এসে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নৌমন্ত্রী।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। যিনি মানুষও খুন করেছেন, নদীও খুন করেছেন। মানুষ খুন করা আর নদী খুন করার মধ্যে পার্থক্য নেই। কারণ নদীরও প্রাণ আছে। জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি তখন তিন শতাধিক খাল বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছিল চিংড়ি চাষ এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য। যে কারণে নদীটা দ্রুত মরে গেল এবং এই নদী খনন করতে আমাদের আজকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জিয়াউর রহমান যদি এই কাজ না করতেন তাহলে নদী কিন্তু এভাবে ধ্বংস হয়ে যেত না। সুতরাং আমি সেই কারণেই বলতে চাই মানুষ খুন করা এবং নদী খুন করা যেমন সমান, জিয়াউর রহমান সাহেব বঙ্গবন্ধুসহ বহু মানুষকে খুন করেছেন আর নদীও খুন করে গেছেন।’
এমনকি যারা এর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় ছিল তারাও একই কাজ করেছে বলে দাবি করেন নৌমন্ত্রী। পরে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে এই চ্যানেল চালু করেছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে পরীক্ষামূলভাবে মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলটি চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০টি নৌযান চলাচল শুরু করেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে চ্যানেলটি চালু করা সম্ভব হবে। এই সময়ে খননকাজও চলবে এবং নৌযানও চলাচল করবে। এ ছাড়া জুন মাসের মধ্যে মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল পুরোপুরি চালু হওয়ার পর সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান শাজাহান খান।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজন, তালুকদার আবদুল খালেক, আনোয়ারুল ইসলাম আনার, রণজিৎ কুমার রায় ও মমতাজ বেগম, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর জাকিউর রহমান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী মংলা বন্দরের উন্নয়ন সভায় অংশ নেন।