ঈশ্বরদীতে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোস্তফা শ্যামলকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে শহরের ফতেমোহাম্মাদপুর মোড়ে চায়ের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় শ্যামল অবাঙালিদের ক্যাম্পে আয়োজিত কাওয়ালি গানের অনুষ্ঠানে ছিলেন। এই সময় যুবদল থেকে সদ্য যুবলীগে যোগদানকারী লোলো বাহিনীর পাঁচ ছয়জনের একটি পক্ষ অনুষ্ঠান থেকে শ্যামলকে ডেকে চায়ের দোকানে আনেন। দোকানের সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ধারালো কিরিচ দিয়ে শ্যামলের পিঠে আঘাত করেন।মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে উঠিয়ে হাত উঁচু করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়। চিৎকার শুনে এবং চায়ের দোকানের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা অস্ত্র দেখিয়ে চলে যায়।
ঈশ্বরদী সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত শ্যামলের পিঠে কিরিচের বিপজ্জ্নক আঘাত রয়েছে। তাঁর দুই হাতই ভেঙে গেছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ বলেন, ‘এই বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি।’
ওসি আরো বলেন, যারা শ্যামলকে মেরেছে তারাও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আহত শ্যামলও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী-সন্ত্রাসী মারামারি করেছে। এ জন্য থানায় অভিযোগ করেনি বলে দাবি করেন ওসি।
ওসির অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জানান, লোলো বাহিনী শ্যামলের দুটি হাত ভেঙে দিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে অসংখ্য ক্ষত হয়েছে।