খুলনা বিভাগের সব পথ শুক্রবার থেকে অচলের হুমকি
মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পথগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ আছে। এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাদের দাবি না মানলে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সব পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ধর্মঘটী শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির যশোর জেলা শাখার সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার দুপুরে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের খুলনা বিভাগীয় কমিটির নেতারা যশোরে জরুরি সভায় বসেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণ, আটক শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সব পথে ধর্মঘট পালন করা হবে।
সোমবার রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটি ফরিদপুর পৌঁছালে ২২ জন যাত্রীর মধ্যে সাতজন অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি শুরু করে। পরে ফরিদপুরের মধুখালী থানার কয়েক কিলোমিটার আগে নেমে যায় ডাকাতরা। এরপর বাসের চালক আয়নাল সরাসরি মধুখালী থানায় গিয়ে গাড়ি থামান। চালক থানায় মামলা করতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন মামলা না নিয়ে চালক আয়নালকে আটক করেন। খবর পেয়ে সোহাগ পরিবহনের কর্মচারী (চেকার) থানায় গেলে তাঁকেও আটক করা হয়।
শ্রমিক নেতা মিন্টু আরো জানান, চালক আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাসশ্রমিকরা মধুখালীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানেও পুলিশ গিয়ে বেপরোয়া লাঠিপেটা করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উভয়মুখী বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে মধুখালী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, সোহাগ পরিবহনের ওই বাসের যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চালককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।