নজরুলজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান এবার কুমিল্লায়
এবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে কুমিল্লায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কুমিল্লায় নজরুল’। আগামী ১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লার টাউন হল চত্বরে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস। তবে এর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে।
মূল অনুষ্ঠান কুমিল্লায়। ওই দিন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ইমেরিটাস রফিকুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।
স্বাগত বক্তৃতা করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্তারী মমতাজ। নজরুল স্মারক বক্তা হিসেবে অধ্যাপক শান্তনু কায়সার উপস্থিত থাকবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ৬টায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নজরুল ইনস্টিটিউট আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। নজরুল ইনস্টিটিউট কাজী নজরুল ইসলামকে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পরিচিত করার লক্ষ্যে কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করবে এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে। ঢাকাসহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপিত হবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবেন।
জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করবে।
জাতীয় কবির ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রদান করবে।