কোচিংয়ে নেওয়ার কথা বলে শিশুকে নিল বাগেরহাট
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সাত বছরের একটি শিশুকে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল রানা (১৮) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সোহেলকে আটক এবং শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক জানান, উদ্ধার হওয়া শিশু তাজরিয়ান জামান তাজবীর ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকার চাঁন মিঞা রোডের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানের ছেলে। সে ঢাকার মতিঝিল মডেল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আটক সোহেল রানা (১৮) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা। সে তাজবীরদের বাড়িতে তিন বছর ধরে কাজ করত।
তাজবীরের বাবা জানান, বাড়ির কর্মচারী সোহেল তাজবীরকে স্কুল ও কোচিং সেন্টারে আনা-নেওয়ার কাজ করত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে সোহেল তাজবীরকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা আর বাড়িতে ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
ওসি জানান, তাজবীরকে নিয়ে সোহেল আজ শনিবার সকালে তাঁর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে যাচ্ছিল। এ সময় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা ওই শিশুসহ সোহেলকে আটক করে বাগেহরাট মডেল থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় জানানো হয়েছে। আটক সোহেল ও উদ্ধার হওয়া শিশু তাজবীরকে নিয়ে যেতে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি দল বাগেরহাট আসছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার হওয়া শিশু তাজবীরের পরিবার এবং থানায় আটক সোহেলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে আটক হওয়া পর্যন্ত সোহেল তাজবীরের পরিবারের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ বা মুক্তিপণ দাবি করেনি। তবে ঠিক কী কারণে সে তাজবীরকে ঢাকা থেকে বাগেরহাট নিয়ে এসেছে তাও এখনো জানা যায়নি।