নরসিংদীতে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছাত্রদলনেতা নিহত
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান (৩২) নিহত হয়েছেন। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদলের আরও এক কর্মী আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে সদর উপজেলার চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। ওই সময় বিএনপির কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি রাম দা, চাপাতি ও ককটেল উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত জেলা ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান আলাউদ্দিনের ছেলে। আহত হয়েছেন সাঠিরপাড়া এলাকার নাজমুল হকের ছেলে আশরাফুল।
জানা যায়, ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন পদবঞ্চিত নেতারা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলি বিদ্ধ হয়ে দুজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত সাদেকুরের ভাই ফারুক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদেক মারা গেছে। আমরা এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছি। ময়নাতদন্তের কাজ শেষে মরদেহ নিয়ে নরসিংদীতে আসব।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল-ই-খোদা সাংবাদিকদের জানান, এক জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
উল্লেখ, গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে ছাত্রদলের সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি, মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনা ঘটে।