নরসিংদীতে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে নিহত বেড়ে ২
নরসিংদীতে কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রদল নেতা আশরাফুল মারা গেছেন। আজ শুক্রবার (২৬ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ঢামেক হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান (৩২) মারা গেছেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রদল নেতা তুষার জানান, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে সাদেক, পরে আজ সকালে আশরাফুলও মারা গেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদল নেতা আশরাফুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে সৃহস্পতিবার রাতে সাদেকুর মারা গেছেন। দুজনের মরদেহই ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এই জেরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।