সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিনকে কারাগারে আটক কেন বেআইনি নয়
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সাত বছরের বেশি সময় ধরে কারাবাসে থাকা শরীয়তপুরের সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিনকে কারাগারে আট কেন বেআইনি নয় মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন অর্থ সংকটের কারণে আপিল করতে পারছেন না।
পরবর্তীতে আদালত এ মামলার শুনানির জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন। আলাউদ্দিনকে আদালতে হাজির কর আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। সেইসঙ্গে আলাউদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির জন্য হাইকোর্টকে অনুরোধ করেন। পিটিশনকারী আইনজীবী বিভূতি তরফদার বলেছেন, আলাউদ্দিন এখন বরিশাল কারাগারে আছেন।
জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সেলিম মিয়া ঢালী নামের একজনের হত্যা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি ২৬ আসামির মধ্যে আলাউদ্দিনসহ ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে আলাউদ্দিন ছাড়া বাকি সব আসামি কারাগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু, আর্থিক সংকটের কারণে আলাউদ্দিন রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কোনো আপিল করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
আইনজীবী বিভূতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড। রেয়াত সুবিধা সাড়ে সাত বছর কারাবাস মওকুফ হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজায় সাড়ে ২২ বছর কারাবাস করতে হয়। আলাউদ্দিনের মামলায়, সাত বছরেরও বেশি সময় আগে তার কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আলাউদ্দিনকে এই দীর্ঘ সময় অবৈধভাবে কারাগারে রেখেছে।