মোংলায় মেঘ-বৃষ্টি, তাপমাত্রা কমায় জনজীবনে প্রশান্তি
উত্তর বঙ্গোপসাগরে মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর অগ্রভাগের প্রভাবে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ঝড়ো বাতাস ও হালকা বৃষ্টিপাত বয়ে যেতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন দিন ধরে উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া চলতি মাসের শেষের দিকে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ রোববার (১৮ জুন) ভোর থেকে মোংলায় আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে শুরু করেছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যৈ বৃষ্টিপাত না হলেও উপকূলীয় অঞ্চল মোংলায় গত বৃহস্পতিবার (১ আষাঢ়) হালকা বৃষ্টিপাত হয়। তবে এতে তখন কমেনি তাপপ্রবাহ। কিন্তু, আজ রোববার আষাঢ়ের চতুর্থ দিনের বৃষ্টি-বাতাসে তাপমাত্রা কমে জনজীবনে প্রশান্তি নেমে এসেছে।
এদিকে, মেঘ, বৃষ্টি ও বাতাসে অস্বস্তিকর গরম থেকে স্বস্তি মিললেও লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়িয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কলকারখানার। দীর্ঘ সময় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় রান্নাবান্না, দোকানপাটে বেচা-কেনা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আজ রোববার (১৮ জুন) সকাল ৯টায় বিদ্যুৎ যাওয়ার পর দুপুর পৌনে ১টায় বন্দর ও পৌর শহরে বিদ্যুৎ আসে। দিনে-রাতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আর বৃষ্টি ও বাতাস হলে তো কথাই নেই, এতে মুহূর্তে মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে যায়।
পিডিবির মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী এইচ এম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় প্রয়োজন মেটাতে বাধ্য হয়ে ২৪ ঘণ্টায় অনন্ত তিন ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে অনেক জায়গায়। সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক করে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হচ্ছে।’
খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় থাকায় উপকূলে মেঘ, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এতে তাপমাত্রা কমে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। আর উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে আগামী দুই থেকে তিন দিন। এরপর ২২ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা কমবে, আবার বৃষ্টি কমে গেলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’