নেত্রকোনায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ
নেত্রকোনার আটপাড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে এলাকার কৃষকদের। খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিষমুক্ত উচ্চ প্রোটিন সম্মৃদ্ধ ফলটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার আটপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় আবাদ হচ্ছে এ তরমুজ। ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা থাকায় সম্প্রসারণে চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জেলার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের প্রদিম পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক পলাশ চন্দ্র সরকার জানান, ধান চাষের পাশাপাশি নিজের ৬০ শতক জমিতে গত বছর থেকে সুগার কুইন জাতের তরমুজ ফল আবাদ করে যাচ্ছেন। ধানের চেয়ে তরমুজ আবাদে লাভবান হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতাই সারা বছরই এ ফল আবাদ করে থাকেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় চারা সংগ্রহ করে মার্চিং পদ্ধতিতে ফলন ফলিয়ে জুন মাস থেকে মাঠেই দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছেন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় তার দেখাদেখি উপজেলার অনেক কৃষক চাষ করছেন এ তরমুজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়জুনাহার নিপা বলেন, ‘আকারে ছোট হলেও আকর্ষণীয় উচ্চ প্রোটিন এ ফলের জুস তৈরী করতে বেশ চাহিদা রয়েছে। এবার আটপাড়া উপজেলায় পাঁচ বিঘা জমিতে আবাদ হচ্ছে গীষ্মকালীন তরমুজ।’
এদিকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে তরমুজ ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
আটপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়জুনাহার নিপার সভাপতিত্বে শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নেত্রকোনা জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ চন্দ কুমার মহাপাত্র। আটপাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাকিল আহমেদ খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন—আটপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সৈয়দ সাকুর আহম্মেদ, কৃষক পলাশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।