বাস মালিক সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে সেই চালকের আত্মসমর্পণ
যশোরে বাস-ইজিবাইক সংঘর্ষে তিন শিশু ও দুই নারীসহ সাতজন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ওই বাসচালক মিজানুর রহমানের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠান পাইকপাড়া গ্রামে। আজ শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয় শ্রমিক সমিতি ও বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আত্মসমর্পণের পর চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের ভেতর থেকে ইজিবাইকটি হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে মেইন রাস্তায় চলে আসলে তিনি হার্ড ব্রেক করেন। কিন্তু সামনেই ছিল স্পিড ব্রেকার। সে কারণে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ তিনি ধরে রাখতে পারেননি। ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে যায়।’
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর-মাগুরা সড়কের লেবুতলায় মাগুরামুখী একটি যাত্রীবাহী বাস ইজিবাইকের ওপর উল্টে পড়ে। এতে ওই ইজিবাইকের যাত্রী একই পরিবারের তিন শিশু ও দুই নারীসহ সাতজন নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত জমজ শিশুর দাদা ছোটন মুন্সী বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় বাসের চালক ও হেলপারকে আসামি করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশ এ দুজনকে খুঁজতে থাকে।
যশোরের খাজুরা বাস মালিক সমিতির সভাপতি তারেক হোসেন বলেন, ‘পুলিশ সুপার ও থানার ওসির অনুরোধে তারা বাসের চালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। শুক্রবার রাতে তাকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে তার সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের কথা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে মিজানুর রহমান আসলে শ্রমিক নেতারা তাকে নিয়ে থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেন।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন বলেন, যশোরের শ্রমিক নেতারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ঘাতক বাসের চালক মিজানুর রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যে মামলা দায়ের হয়েছে সে মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। রবিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।