প্রশ্নপত্র ফাঁস : বুয়েট শিক্ষক নিখিলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে। পরে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।
তবে, মামলার অভিযোগপত্র থেকে শিক্ষক নিখিল রঞ্জনকে কেন বাদ দেওয়া হলো, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৯ জানুয়ারি বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগপত্রের পরে আসামি নিখিল ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। পরবর্তীতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে ঢাকার সিএমএম রেজাউল করিম চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে নিখিল রঞ্জনকে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে এডিশনাল সিএমএম তোফজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন—পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম ওরফে স্বপন (৩৬), জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুল হক ওরফে শ্যামল (৩৪) ও আবদুল্লাহ আল জাবের (৩৪), আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ওরফে রয়েল (২৬), পিয়ন দেলোয়ার হোসেন (৩১), কর্মী রবিউল আউয়াল (৪১), পারভেজ মিয়া (২৬), মিজানুর রহমান মিজান (৩৭), মোবিন উদ্দিন (৩২), মোস্তাফিজুর রহমান (৩৭), সোহেল রানা (৩৫), পরীক্ষার্থী রাশেদ আহমেদ ওরফে বাবলু (৩৭), জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ (৩৮), রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪১) ও রূপালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানে আলম ওরফে মিলন (৩২)।
আসামি জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রাশেদ আহমেদ বাবলুর আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিচারক আজ অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন। চার্জ গঠনের ফলে মামলার বিচার শুরু হবে। বিচারক পরবর্তী কার্যক্রমে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।’