শেরপুরে পাহাড়ে লটকন চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
শেরপুরের গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে রোপণ করা প্রতিটি গাছে থোকায়-থোকায় ঝুলছে লটকন। গাছের গোড়া, কাণ্ড ও ডালে-ডালে ঝুলে আছে লটকনের থোকা। স্থানীয় বাজারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা মিষ্টি ও রসালো ফল লটকনের। চাহিদা থাকার পাশাপাশি খরচ কম ও অল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে এই ফল চাষের আগ্রহ। আর এসব লটকনের বাগান বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এদিকে পাহাড়ি এসব এলাকায় লটকন চাষে যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ।
বাউসা গ্রামের লটকন চাষি হামিদুল্লাহ জানান, ২০০৭ সালে নরসিংদীর ওজিলাব গ্রাম থেকে ১২০টি চারা নিয়ে আসেন। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ৩৫টি গাছে ফল আসা শুরু করে। তারপর ২০১৬ সাল থেকে সব গাছেই ফল এলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ বছর এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বাগান বিক্রি করা হয়।
হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়ির পেছনে পতিত ছায়াযুক্ত জমিতে গাছগুলো রোপণ করি। আমাদের এ গ্রামে এখন ছোটবড় বেশ কয়েকটি বাগান রয়েছে। আশা করছি, সামনে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে।’
জেলা কৃষি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিবানী রাণী নাথ বলেন, ‘গারো পাহাড়ের মাটিতে লটকন চাষের প্রায় সব গুণাগুণ রয়েছে। তাই এসব পাহাড়ি গ্রামে লটকনের ভালো আবাদ হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমে অন্যতম ফল লটকন। লটকন গাছে শীতের শেষে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেবর মাসে লটকন পাকে। যেকোনো ফলের চেয়ে অনেক লাভজনক লটকন চাষ করা। এর স্বাদ টক-মিষ্টি। এখন ফলটি বাজারে বেশ দেখা যাচ্ছে এবং দামও চড়া। কৃষি বিভাগ সব সময় চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।’