১৫ আগস্টের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক : আমু
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে পরিবারসহ হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক ও পরিবারকেন্দ্রিক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমু বলেন, ‘একদিকে হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ। এটি একটি পরিবারকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। জাতির পিতাকে হত্যার আড়াই মাস পর জেল হত্যায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে লাভবান হলো, একাত্তরের পরাজিত শক্তি। জিয়াউর রহমান এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। হত্যাকারীদের পুর্নবাসন করা, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে খালেদা জিয়া।’
চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে ১৪ দলের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার অর্জন। আদালতের রায়ে, সংবিধানে একে বাতিল করা হয়েছিল। কেউ নির্বাচনে না আসলে, অন্য কেউ জিতলে, এটা বিজিত দলের কোনও অন্যায় হতে পারে না।’
দেশকে এগিয়ে নিতে ও আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে আমু বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বের এই সফলতা অনেকের গাত্রদাহের কারণ। এজন্যই অনেকে গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। মাঠের আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। যারা ভয় পায়, তারা বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাবার পায়তারা করে যাচ্ছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।’