বিয়ের প্রলোভনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুরে মামলা
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মীকে (৪০) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে মামলার বিষয়টি জানান ওই ভুক্তভোগী নারী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তিনি ডাসার থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), পূর্ব ডাসার গ্রামের মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকা মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পরে সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সঙ্গে পরিচয়। অভিযুক্ত চায়ের দোকানি বাবু ও মানিক শেখ ভুক্তভোগীকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ছেলের বাড়ি-ঘর দেখানোর কথা বলে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীকে। কালাম বেপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয়। তাই চারজনকে বাড়িতে থাকতে দেন। রাতে কালাম ব্যাপারী, তার স্ত্রী, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
এ সময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। তিনি রাজি না হলে হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ স্বজনদের জানান ভুক্তভোগী। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমাকে তারা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে আনে। এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই।’
কালাম বেপারী বলেন, ‘ইদ্রিস আমার আত্মীয়। এই সুবাদে তাদের আমি থাকতে দিয়েছি। কিন্তু তারা এই মেয়েটার সঙ্গে এরকম খারাপ কাজ করবে, ভাবতে পারিনি। তাদের কঠিন বিচার হোক।’
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’