ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পরানা পল্টনে বায়তুল মোকাররম এলাকাসহ সারা দেশে এই বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের শান্তি-নিরাপত্তার আহ্বান জানাচ্ছি। আমেরিকাসহ যেসব দেশ দখলদার ইসরায়েলিদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে তাদের সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ সারা দেশ থেকে আামদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন :
মাসুদ রায়হান পলাশ, ঢাকা : রাজধানীর পুরানা পল্টনে বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে সমবেত হয় মুসল্লিরা। এরপর ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন মুসল্লিরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, দখলদার ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে তা বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয়। আমরা ইসরায়েল সরকারসহ তাদের মদদদাতাদের স্পষ্ট বলতে চাই—অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে কঠোর মূল্য দিতে হবে। বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ বিক্ষোভ মিছিলে যারা অংশ নিয়েছেন তাঁদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা।
আরিচ আহমেদ শাহ, চট্টগ্রাম : ফিলিস্তিনে মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ, ফিলিস্তিনে মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানেও প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
জুমার নামাজের পর নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে নেজামে ইসলাম পার্টি ও মুসলিম তৌহিদি জনতা। নেজামে ইসলাম পাটির কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা সরোয়ার কামাল, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা ফজলুল করিম জেহাদি, মহানগর আমির অধ্যক্ষ মনজুরুল কাদের ও আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।
বক্তারা শিগগিরই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানান।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড হয়ে জামালখান গিয়ে শেষ হয়।
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা : গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে খুলনায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জেলা ইমাম পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলন পৃথকভাবে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
ডাকবাংলায় মোড়ে ইমাম পরিষদ সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলনা নাসির উদ্দিন কাশেমী, এ এফ এম নাজমুল সাউদ প্রমুখ।
বাইতুল নুর মসজিদ চত্বর থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।
আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ বড় মসজিদ চত্বর থেকে ইসলামী আন্দোলন উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বড় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে স্টেশন মোড় হয়ে গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় দিয়ে নতুন বাজার মোড়ে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির উত্তর জেলার সভাপতি হাদিউল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলানা মো. মামুনুর রশীদ সিদ্দিকী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. মাসুদুর রহমান।
মিছিলে ময়মনসিংহ উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগর শাখার নেতারাসহ সাধারণ মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র সমালোচনা করে সেখানকার মুসলমানদের প্রতি সমবেদনা জানান। নেতারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি খাবার ও ওষুধ সামগ্রী পাঠানোর অনুরোধ জানান।
ভজন দাস, নেত্রকোনা : ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর ইসরায়েলি সেনাদের হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনা শহরের বারহাট্টা সড়কের মিফতাহুলউলুম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোক্তারপাড়া বড় মসজিদের সামনে সংক্ষিত সমাবেশ করে।
মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে ও মাওলানা গাজী আবদুর রহিম রুহী এবং মাওলানা মোতালিব ফয়েজীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, মুফতি আফজাল হোসেন রাহমানী, মাওলানা নুরুল্লাহ ভুইয়া, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা আসাদুর রহমান আকন্দ, মাওলানা আব্দুল বাতেন, মুফতি যাকারিয়া সুতারপুরী, মাওলানা আহমাদ, মাওলানা খুবাইব কাসেমী, মাওলানা মুফিজুর রহমান, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুরশেদ, মাওলানা নরুল আমিন মঞ্জুরী, মাওলানা আবু সায়েম খান, মাওলানা শরিফ তালুকদার, মাওলানা সারওয়ার, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাদী, মাওলানা সারওয়ার, মাওলানা আব্দুল মোতালিব খান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ইসরায়েলের পতাকায় অগ্নি সংযোগ করা হয়।
কাজল বরন দাস, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা ইমাম পরিষদ। আজ জুমার নামাজের পর শহরের সব মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে এসে জড়ো হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মুসলিমপাড়া বায়তুল মুকাররম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আবদুল কাদেরের সঞ্চালনায় জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মদিনা জামে মসজিদের খতিব আবু ইউসুফ, জেলা ইমাম পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক থানাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ঈসারুল্লাহ, সদস্য মোজাহার উদ্দিন, কলের পুকুরপাড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার শহরেও বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। আজ জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের পশ্চিমবাজার জামে মসজিদ থেকে বিপুল পুলিশের উপস্থিতিতে দলটি নেতাকর্মীরা ‘গো ব্যাক ইসরায়েল’ স্লোগান দিতে দিতে মিছিল শুরু করেন। শান্তিপূর্ণ মিছিলটি কুসুমবাগ এলাকার এসআর প্লাজার সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোলাইমান আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোলাইমান আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী।
অপরদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে শ্রীমঙ্গলের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ জনতা।
বাদ জুমআ শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে শ্রীমঙ্গল ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের ব্যানারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোডে পেট্রল পাম্পের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি, উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ফেরদাউস আহমদ মাধবপুরী।
পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম ও আজিজুর রহমান সিরাজির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি মাওলানা আয়েত আলী, জামেয়া ইসলামিয়া শ্রীমঙ্গলের মঈনে মুহতামিম মাওলানা মুফতি মনির উদ্দিন প্রমুখ।
মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ : ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মুসল্লি অংশ নেন। তারা অনতি্বিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানান।
আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর : ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ জুমার নামাজ শেষে জেলা সম্মিলিত ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পৃথক ব্যানারে হাজারও মুসল্লি এতে অংশ নেন।
মিছিলটি শহরের দক্ষিণ তেমুহনী থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মুসল্লিরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড তুলে ধরে স্লোগান দেন। মুসল্লিদের ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলা শহর।
জেলা সম্মিলিত ওলামায়ে কেরামের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিল শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আ হ ম নোমান সিরাজী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লোকমান হোসাইন, সদস্য মুফতি শরিফুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মোখলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস খান প্রমুখ।
মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জেও আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে সুপার মার্কেট দিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে দল-মত নির্বিশেষে মুসল্লিরা একত্রিত হয়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে ফিলিস্তিনের পতাকা, ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি পোশাক কেফিয়্যে পরে ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক-ইসরায়েল নিপাত যাক’ ‘ইসলামের শত্রুরা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, ইসলামী যুব আন্দোলনের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বিক্রপুরী, ইসলামী আন্দোলনের কার্যকরী সদস্য সোহরাব হোসেন ফারুকী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মুন্সীগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম ইসলাম প্রমুখ।
ওছমান হারুন মাহমুদ, ফেনী : ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতেও বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখা। আজ জুমার নামাজ শেষে জহিরিয়া মসজি থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে গিয়ে সমাবেশ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।
মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আল আকসা মসজিদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর। আট দশক ধরে গাজা দখল করে দখলদাররা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলকে দিয়ে পশ্চিমারা পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা নুরুল করিম, সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলনের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।