বঙ্গোপসাগর থেকে বার্ষিক ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব
বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বার্ষিক অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
একই সঙ্গে আগামী দিনে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে সমুদ্রসম্পদ নির্ভর সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির উপর জোর দেওয়ার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
বক্তারা বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্র থাকলেও তার দ্বার উন্মোচন এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মৎস্য সম্পদ, ট্যুরিজমের পাশাপাশি সমুদ্র থেকে অপার সম্ভাবনার খনিজ সম্পদ আহরণ করা গেলে দেশের অর্থনীতি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী। ফলে আয় যেমন বাড়বে তেমনি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
কক্সবাজারকেন্দ্রীক সুনীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে যৌথভাবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) কউকের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ এবং সামুদ্রিক সম্পদ ও তার সুষ্ঠু ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভূ-তাত্ত্বিক ওশানোগ্রাফি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ জাকারিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. কেএম আজম চৌধুরী।
কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মো. নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা শাখার প্রধান ড. শফিকুর রহমান প্রমুখ।