প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। আজ আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। পরে, ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২ আগস্ট জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেন। তিনি এজাহারে বলেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার করে টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।