মিলল বড় ছেলের মরদেহ, মা নিখোঁজ
শরীয়তপুরে পারিবারিক কলহের জেরে তিন সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মা ও এক সন্তান নিখোঁজ হন। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বড় ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও মা নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলার নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের চরভোজেশ্বর এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার তিন সন্তান নিয়ে মা নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় দুই শিশুসন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর আজ সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ বড় ছেলে সাহাবী হোসেন জাফরের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিখোঁজ সালমা বেগম উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া বয়াতিকান্দি এলাকার আজবাহার মাদবরের স্ত্রী। জীবিত উদ্ধার হওয়া ওই দুই শিশু হলো- আনিকা ইসলাম (২) ও সোলাইমান (১০ মাস)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব (নড়িয়া সার্কেল) মোবাইল ফোনে বলেন, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মা ছেলের নিখোঁজের ঘটনায় আজ সকালে ছেলে সাহাবীরের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মা সালমা বেগম নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
২০১৬ সালে নড়িয়া ওই এলাকার পাট ব্যবসায়ী আজবাহার মাদবরের (৪০) সঙ্গে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাচক এলাকার সালমা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। আজবাহার আর সালমার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল। তবে সালমার সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত।
সালমার পরিবারের লোকজনের দাবি, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই ননদ তাঁকে প্রায় শারীরিক নির্যাতনও করতেন। পারিবারিক কলহ আর নির্যাতন সইতে না পেরে সালমা তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন বলেও দাবি করছেন তাঁরা।