হাসপাতালে হামলাকারীরা ইসরায়েলের জারজ সন্তান কি না, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চোরাগুপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যাবে না। তাদের সঙ্গে দেশের মানুষ নেই। তাদের নেতা কোথায়? খালেদা জিয়া দণ্ডিত। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছি।’
লন্ডনে বসে আন্দোলন চালাচ্ছে জানিয়ে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে দেশে আয়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে হাসপাতালে হামলা করেছে, একইভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের চ্যালাপেলারা হাসপাতালে হামলা করেছে। এরা ইসরায়েলের জারজ সন্তান কি না এটাই আমার প্রশ্ন। এরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়।’
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প ও সার কারখানা উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘বাংলাদেশে একসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। ভোটের ও ভাতের অধিকার ছিলে না। মিলিটারি ডিক্টেটররা দেশে এগুলো করেছে। আমরা আন্দোলন করে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন দেশে ভাতের সংকট নেই। তরকারি ও শাকসবজি এখন ভরপুর। আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের শিক্ষার্থীদের এখন টাকা দিয়ে বই কিনতে হয় না। আমরা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তির আওতায় এনেছি। আমরা জানি খালেদা জিয়া ও তার দলের লোকেরা চায় না- দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক।’
বিএনপির সামনে এসে আন্দোলন করার সাহস নেই। তারা এখন গলিপথ থেকে বেরিয়ে এসে চোরাগুপ্তা হামলা করে অবরোধ পালন করছে। তারা প্রকাশ্যে পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে। তাদের হাত থেকে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীরাও মুক্তি পাচ্ছে না।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি হাসপাতাল করে দিয়েছি। আমরা ২৯ লাখ মানুষকে প্রতিবন্ধি ভাতা দিয়ে আসছি।’
জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা তা কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। খালেদা জিয়া দেশ একটু বিদ্যুৎও দিতে পারেনি।’
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন দেশের উন্নয়ন করছি তখন বিএনপি দেশকে পিছিয়ে নিতে নানা ধরনের সন্ত্রাস করে যাচ্ছে।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আগুন সন্ত্রাস চালাবে তাদের ধরে ওই আগুনেই ফেলে দিতে হবে। এতে যদি তাদের একটু শিক্ষা হয়। তারা অবরোধ ডেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়।’