অপহরণের তিন দিন পর অধ্যক্ষকে উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে অপহরণের তিন দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী লতা পারভিন আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জানিয়েছেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর জেলার অজ্ঞাত একটি স্থান থেকে মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিলুর আজ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ধারের পর অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখা হয়েছে বলে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, মাসুদ রানার সঙ্গে একই কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল সানোয়ার, প্রভাষক কে এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ্জামান সোহেল, প্রভাষক সায়েদুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে মামলা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয় অধ্যক্ষ মাসুদ রানা। রাত ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন তাঁকে ফোন দিলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হয়। রাত ১২টার দিকে মাসুদ রানার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে লেখা হয় ‘পাঁচ জনের টিম আমায় চন্দ্রা হতে চোখ বেঁধে তুলে নিয়েছিল। এই ফোনটা ব্যাগে ছিল। আরেকটা ওরা ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি সম্ভবত সদর ঘাটের কোনো পুরাতন ভবনে। এরা রাস্তায় কথা বলছে ভাইস-প্রিন্সিপাল সানোয়ার, কে এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ্জামান, প্রভাষক সাইদুলদের সঙ্গে। এরা মনে হয় মেরে ফেলবে আমায়। মাইক্রোতে অনেক মারধর করেছে। বাথরুমের কথা বলে আমি এই বিপদের কথা লিখতে পারলাম। এরা শুধু রিজিকেই আঘাত করেনি, এখন দেখছি আমার জীবনের উপর চরম আঘাত। আল্লাহ আমায় বাঁচাও আর এদের বিচার কর।’
পোস্টটি দেখার পর মাসুদ রানার দুটি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে দেখা যায় দুটি নম্বরই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।