চট্টগ্রামে গাছের ডাল পড়ে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মিরসরাইয়ে গাছের ডাল পড়ে এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে এ মৃত্যর ঘটনা ঘটে।
আজ বিকেলে মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মহানগর এলাকায় ঘরের বাইরে হঠাৎ গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মুনতাহা নামে এক শিশু মারা যায়। সে স্থানীয় হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়ির আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে। নিহত শিশুর ফুফাতো ভাই ইবরায়েত হাসান জানান, বিকেল ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারনে হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। এ সময় মুনতাহা বাইরে ছিল। হঠাৎ গাছের একটি ডাল ভেঙে তার মাথায় পড়ে।
এদিকে সন্দ্বীপ উপজেলায় মগধরা ইউনিয়নে আবদুল ওহাব নামে এক ব্যক্তির গাছচাপা পড়ে আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গভীর সাগরে নোঙ্গর করা একটি লাইটারেজ জাহাজ বাতাসের তোড়ে উপকূলে এসে আছড়ে পড়ে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ ভেঙে বিভিন্ন বাড়িঘর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আজ দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বঙ্গোপোসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় সব ধরনের অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বাকলিয়া, মোহরা, আগ্রাবাদ, চকবাজার, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় হাটু পরিমাণ পানি জমেছে।
পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
জেটিতে নোঙ্গর করা জাহাজ ছাড়াও বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করা জাহাজগুলোকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আজ দুপুরে বন্দর ভবনের বোর্ডরুমে আয়োজিত জরুরি সভা শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি বন্দরের সব ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ বিভাগে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। মাদার ভেসেলগুলোকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া ছাড়াও বন্দর চ্যানেলের আশপাশে থাকা সব ধরনের লাইটার জাহাজকে শাহ আমানত সেতুর ওপারে কর্ণফুলী নদীর উজানে গিয়ে নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপারেশন কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশ নিরাপদে সরিয়ে নেয়াসহ টার্মিনালগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে ঝড় পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দর চালু করার ব্যাপারেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য হাবিবুর রহমান।