বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর আওয়ামী লীগে যোগদান
কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পদত্যাগ করেন। তাঁরা সবাই শাহজাহান ওমরের অনুসারী এবং তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাহান ওমরের নির্বাচনি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নেতাকর্মীরা পদত্যাগের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, যুবদলের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম বশির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিব ভুট্টো ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
এদের নেতৃত্বে উপজেলা ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এ সময় কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল জলিল মিয়াজী ও জাকির হোসেন কবির উপস্থিত ছিলেন।
কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া বলেন, আমরা শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা। সবসময় তাঁর পাশে ছিলাম, এখনও আছি। তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, আমরাও তাঁর পক্ষে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিয়েছি। শাহজাহান ওমরের বিজয় নিশ্চিত হবে। তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
শাহজাহান ওমর গত ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। ৩০ নভেম্বর তিনি গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ খবরে শাহজাহান ওমরকে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন শাহজাহান ওমর। এ সমাবেশে বিএনপির একাংশের সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী তাঁর পাশে বসা ছিলেন। এ সময় শাহজাহান ওমরের বন্দুকটি তাঁর হাতে ছিল। নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি সমাবেশ ও বন্দুক নিয়ে বিএনপিনেতার অবস্থানে ভোটারদের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
পরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুণ্ডু তাঁকে শোকজ করেন। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না, তা আগামীকাল বুধবারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।