ভোটার, কেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দেবে র্যাব : মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেছেন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্যান্য লোকাল প্রশাসনের সঙ্গে ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দেবে র্যাবও।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব ১৪-এর দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন।
মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই্। ইতোমধ্যে মনোনয়ন দাখিল, বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনি প্রচারণাও। নির্বাচনের সময় আমরা লোকাল প্রশাসন অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে আমরা কাজ করে থাকি। নির্বাচনের আগে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ভোটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের এবং যাঁরা ওই দিন ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন তাঁরা যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বিঘ্নে বাসায় ফেরত যেতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিব।
এ সময় এম খুরশিদ হোসেন দেশের বিত্তবানদের দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছি, আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচনের আগে যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য কাজ করা। শুধু রেললাইনে না বিগত ২৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন ধরনের নাশকতমূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, রেললাইনের ফিসপ্লেট, রেল লাইন কাটা হচ্ছে। এগুলো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সাধারণত দুভাবে কাজ করে থাকি, একটি ইউনিফর্ম পরে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। আমরা এসবের পেছনের কাজ করছি। আজকে ট্রেনে যে কাজটি হয়েছে তাতে চারজন নিহত হয়েছে। আমরা আপনাদের নিশ্চিন্ত করতে পারি যে এ ধরনের নাশকতা করে বাংলাদেশে কেউ পার পাবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ধরেনের কাজ কঠোর হস্তে দমন করবে র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, হরতাল চলছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন বাঞ্চালের জন্য নাশকতা দেখছি। যখন অবরোধ থাকে তখন এই ধরনের নাশকতা হয়। নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে কেউ পরাজিত হবে। মিছিল হবে, তবে যেন কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সেজন্য র্যাব কাজ করবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি র্যাব কিন্তু অনেক মানববিক কাজ করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দমনের পাশাপাশি তাদের আমরা পুনর্বাসন করে থাকি। সিরাজগঞ্জের ৩১৪ জনকে আমরা পুর্নবাসিত করেছি। সুন্দরবনের সন্ত্রাসীদের র্যাব কর্তৃক আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এ সময় র্যাব-১৪ অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।