মাদারীপুরে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের ঈগল প্রতীকের পক্ষের মিছিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বোমা হামলার ঘটনায় কালকিনি থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর হক ব্যাপারীকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতানামা আসামি করে এ মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন—উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার এবাদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার ইমরান হোসেন (২৬)।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগমের ঈগল প্রতীকের পক্ষে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মিছিল বের করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকেরা অতর্কিতভাবে বোমা ও ককটেল হামলা চালান। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় বোমার আঘাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী লক্ষ্মীপুর ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী, মালেক হাওলাদার, আকলিমা বেগমসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এ হামলার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর ভাই মোফাজ্জেল কাজী বাদী হয়ে কালকিনি থানায় শুক্রবার বিকেলে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী লক্ষ্মীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার পক্ষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সোবহান গোলাপের পক্ষ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলু বেপারির নেতৃত্বে আমাদের মিছিলের ওপর ককটেল বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমিসহ আমাদের ১০ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আমরা এ হামলার সঠিক বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘হামলার ঘটনার মামলায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’