মাদারীপুরের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল খান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
গ্রেপ্তার বিল্লাল ভাটাবালী গ্রামের মোকলেস খার ছেলে। নিহত এসকান্দার খা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের সমর্থক ছিলেন। আর আসামি বিল্লাল খান আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবাহান মিয়া গোলাপের সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এসকান্দার খা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসকান্দার খা হত্যার পর থেকেই জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে গাজীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঐ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান ও মো. মনিরুজ্জামান ফকিরসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকান্দার খা। এ সময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর লোকজন হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় এসকেন্দার খাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তার পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়। বাধা দিতে এলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসকেন্দার খা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার কালকিনি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার।