জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেলে দুই চাচাতো ভাইয়ের
পটুয়াখালীর বাউফলে দুই চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতোশখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আতোশখালী গ্রামের মো. খোরশেদ মুন্সির ছেলে মো. সেলিম মুন্সি (৪০) ও একই বাড়ির আমির হোসেন মুন্সির ছেলে মো. আলাউদ্দিন মুন্সি (৫০)। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। সেলিম মুন্সী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় সেলিম হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলাউদ্দিন মুন্সীর স্ত্রী ফুলবানু ও মেয়ে মরজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সেলিম মুন্সী ও আলাউদ্দিন মুন্সীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন মাধবপুর গ্রামে নৌকার উঠান বৈঠক শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেলিম মুন্সী বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির অদূরে আলাউদ্দিন মুন্সী ও তার পরিবারের লোকজন সেলিম মুন্সীর ওপর হামলা চালায়। হামলায় সুইচগিয়ার ছুরি দিয়ে সেলিম মুন্সীর বুকে ও পেটে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান সেলিম। সেলিম নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরার কিছু সময় পরেই মারা যান আলাউদ্দিন মুন্সী। তবে আলাউদ্দিন ঠিক কি কারণে মারা গেছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, সেলিম মুন্সীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্ট্রোকে আলাউদ্দিন মুন্সীও মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহবুদ্দিন সাবু জানান, সেলিম ও আলাউদ্দিন মুন্সী আপন চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরেই সেলিম মুন্সীর হামলা করা হয়। হামলায় ঘটনাস্থলে মারা যান সেলিম। তবে আলাউদ্দিন মুন্সী কীভাবে মারা গেছে তা বলতে পারব না।
এ ঘটনায় সেলিম মুন্সীর স্ত্রী মমতাজ বেগম চার জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আলাউদ্দিন মুন্সীর স্ত্রী ফুলবানু ও তার মেয়ে মরজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে আলাউদ্দিন মুন্সীর স্ত্রী ফুলবানু বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই পক্ষই মামলা করেছেন। সেলিম হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের অধিকতর তদন্ত চলছে।