বিএনএম থেকে সরে গিয়েও সাজা পেলেন মেজর হানিফ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রতিষ্ঠাতা করলেও মামলার সাজা থেকে রক্ষা পেলেন না বিএনএমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব মেজর (অব.) মোহাম্মদ হানিফ। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক এই যুগ্ম আহ্বায়ককে ২১ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় দেন।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এক যুগ আগের এই মামলায় মেজর (অব.) মোহাম্মদ হানিফকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এম এ আউয়াল খান, এম এ কাউয়ুম, মো. দুলাল, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু, মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজু, মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুব।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাঙ্কির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে আসামিরা বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। তারা রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ তাঁকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন।
মেজর মোহাম্মদ হানিফ ২০১৪ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
এ বিষয়ে মেজর (অব.) মোহাম্মদ হানিফ বলেন, মামলার রায় আমি শুনেছি। একই মামলার অপর আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে আদালতে আত্মসমর্পণ করব। তিনি আরও বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনএম গঠন করেছিলাম, তা সফল হয়নি। আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলাম না। নেতারা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তাই আমি দল থেকে দূরে সরে এসেছি।’