ন্যাম সম্মেলন : অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান ঢাকার
অভিন্ন বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। উগান্ডার কাম্পালায় ন্যামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য তুলে ধরে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা ৫০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক।’
ফলাফল নথি, কাম্পালা ঘোষণা ও ফিলিস্তিনবিষয়ক ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার মধ্য দিয়ে ন্যামের দুই দিনব্যাপী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ও আগামীকাল দুদিনের ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে এই ঘোষণা ও নথিগুলো গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে তার পদযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে পুনঃনির্বাচিত করেছে।
ন্যামের দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে সহায়তার জন্য এবং পরিণত হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যামের অভ্যন্তরে কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব ফিলিস্তিনবিষয়ক ন্যাম মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে যোগ দেন এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও নিপীড়ন থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির জন্য বৈধ অধিকার ও ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত কৌশল ব্যবহার করতে ন্যামের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।