দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষক
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। যতদূর চোখ যায় শুধু আলু আর আলুর ক্ষেত। আলুর দাম পেয়েও খুশি কৃষক।
তবে ঘন কুয়াশার কারণে এবার বিভিন্ন এলাকায় লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণ দেখা গেছে। এই রোগে গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করে মরে যায়। এরপরেও আলুর যে ফলন হয়েছে তাতে কৃষক বেশ খুশি। আলু বিক্রি করেও কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছেন। দিনাজপুর সদর উপজেলার মাজাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, এবার তারা আলুর দাম পেয়েছেন।
দিনাজপুর জেলা জুড়ে এখন চলছে আলু তোলার ধুম। হল্যান্ড, জ্ঞানোলা, কাঠি লালসহ বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হয়ে থাকে দিনাজপুর জেলায়। কৃষি শ্রমিক হিসেবে নারী ও পুরুষ দলে দলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু তুলছেন ক্ষেত থেকে। কৃষি শ্রমিকরা ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা করে পাচ্ছেন মাথাপিছু। সেই সাথে পাচ্ছেন খাওয়ার জন্য দুই কেজি করে আলু। এতে কৃষি শ্রমিকরা বেশ খুশি।
এ মৌসুমে বিশেষ করে আগাম জাতের আলুতে লাভবান হয়েছে কৃষক। জেলায় আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এক কেজি আলু বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এই দাম পেয়ে তারা খুশি। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর আলু বিক্রি করে পাচ্ছেন এক লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা।
দিনাজপুর সদর, বীরগঞ্জ, কাহারোল, ফুলবাড়ী, খানসামা, চিরিরবন্দর এইসব উপজেলায় আলুর ফলন বেশি হয়ে থাকে। সদর উপজেলার আলু চাষী আব্দুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে আলুর ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে যে ফলন হয়েছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, ৪৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়, এক লাখ ৫০ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দিনাজপুরের আলু ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।