চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিসি-এসপিদের মাঠে নামতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে ব্যবসা করতে হবে। রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কাউকে খাদ্য নিয়ে বেশি মুনাফা করতে দেওয়া হবে না। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে ডিসি-এসপিদের মাঠে নামতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত মিল মালিকদের প্রশ্ন করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরে, সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত চালের দাম বাড়ার কারণ কি?’ পরে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি মিল মালিকদের কেউ। নানা অজুহাত তুলে ধরেন তারা।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ডিসি-এসপিদের কঠোর হয়ে মাঠে নামতে নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজার অস্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সময়ে সুযোগ নিয়েছেন মিলমালিকসহ চাল ব্যবসায়ীরা। মিল মালিকরা চালের দাম কমাক না কমাক মনিটরিং চলতেই থাকবে। প্রয়োজনে অবৈধ মজুতদারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। দেশে মিনিকেট ধান বলে কোনো জাত নেই। আইন হয়েছে বিধিমালাও প্রস্তুত হচ্ছে। এখন থেকে বস্তার গায়ে ধানের নাম, ওজন ও মূল্য লিখতে হবে। পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না। মিল মালিকদের ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদের হিসাব প্রতিদিন দাখিল করতে হবে। না হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হবে না। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই শুল্কমুক্ত বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হোসাইনী, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, চালকল মালিক সমিতির জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, হাসকিন মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার ভান্ডারী প্রমুখ।
পরে সড়ক পথে রাজধানীতে ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরে ধান-চালের মিল ও আড়ৎ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ সময় অতিরিক্ত ধান মজুদ কারার অভিযোগে শুভ এগ্রো ফুড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রম্যমাণ আদালত। ওই সময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামসহ খাদ্য বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।