নিখোঁজের তিন দিন পর কুষ্টিয়ায় পদ্মার চরে মিলল যুবকের মরদেহ
নিখোঁজের তিন দিন পর কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মার চর থেকে মিলন হোসেন (২৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে গফনযভা চরে পুঁতে রাখা ব্যাগের মধ্যে মিলনের মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মিলন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহির মাদি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে। তিনি শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘গত ৩১ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক মিলনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে না ফিরলে মিলনের স্ত্রী মিমু খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তাকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সজীব নামে একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতভর পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে আজ সকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ব্যাগ থেকে মিলনের আট টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা সজীবসহ মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’
চাঁদা না পেয়ে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পলাশ কান্তি নাথ আরও বলেন, ‘মূলত নিহত মিলন অনলাইনে ফ্রিল্যান্সারের ভালো আয় করতেন। হত্যাকারীরা তার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাকে ডেকে এনে মারধরের পর হত্যা করে। এরপর তার মরদেহ পদ্মা নদীর চরে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’