বিজিপি-সেনাসহ আরও ২২৯ জনের বাংলাদেশে আশ্রয় : বিজিবি
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণের পর নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিজিবির কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে বিজিপি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এর জেরে বিজিপি ও সেনা সদস্যরা অস্ত্রসহ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পালিয়ে আসা সশস্ত্র সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণের পর নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহত সদস্যের চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৯ জন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়েনের ধামনখালীর আনজুমানপাড়া এবং টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে মিয়ানমারে চলমান ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। পালংখালীর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গফুর উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে এই এলাকার মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। ওপার থেকে ছোড়া গোলা এসে পড়েছে এপারের বিভিন্ন ঘরের চালে, বাড়ির উঠানে।’