নরসিংদীতে বাড়িতে ডেকে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার স্বামী
নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় পাষণ্ড সাবেক স্বামী রওশন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার ৪ ঘণ্টার মধ্যে রওশন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহিদুল ইসলাম সোহাগ এই তথ্য জানান।
প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে নিহত রুনার সাবেক স্বামী রওশন মিয়া রুনাকে সদর উপজেলার হাজিপুর চকপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে রুনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম স্যারের নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রওশন মিয়া নৌকাযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পালানোর সময় মেঘনা নদীর বেঙ্গল ঘাট এলাকা থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। রওশন পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রুনার ভাই সাহাউদ্দিন তাঁর সাবেক স্বামী রওশন মিয়াকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভির আহাম্মেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্ত্রী রুনা বেগম (৪৫) বটি দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে সাবেক স্বামী। হত্যার পর বাড়িতে লাশ ফেলে সবার সামনে দিয়ে পালিয়ে যায়। রুনার মৃত্যুর খবরে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় জমায়। স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত রুনা বেগম (৪৫) শহরের বেপারীপাড়া এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে।