মানুষকে জিম্মি করে কেউ রেহাই পাবেন না : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার কঠিন বার্তা দেওয়ার পরও আপনারা নিত্যপণ্যের দাম কমাচ্ছেন না। রমজান মাসে মানুষকে জিম্মি করলে কেউ রেহাই পাবেন না।
আজ রোববার (১০ মার্চ) শ্যামলী মাঠের সামনে রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী সুলভমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক এই হুঁশিয়ারি দেন।
মন্ত্রী বলেন, যে বাজারদর রমজান মাসের সদগাহ জারি হওয়ার কথা, সে জায়াগা থেকে উল্টো মানুষকে জিম্মি করে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরকে আমি সতর্কবাণী দিলাম- দলের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে কেউ রেহাই পাবেন না।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী থাকাকালে বাজারের সম্পর্কে অবহিত ছিলাম। বাজার সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। কুমিল্লা নিমসার বাজার থেকে আমরা যখন ১০ টাকা দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে একটু ফুলকপি কিনি সেটি যখন কারওয়ান বাজার হয়ে নিউমার্কেট বা টাউন হল মার্কেট আসে তখন এটি ৫০ টাকা হয়ে যায়। কৃষক পেল ১০ টাকা আর বিক্রি হলো ৫০ টাকা, মাঝখানে যে শুভঙ্করের ফাঁকি, মাঝখানে যে বিরাট ব্যবধান, এটা আশ্চর্যজনক ব্যবধান।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাজারদর নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন। বারবার কঠিন বার্তা দিচ্ছেন। তারপরও যারা বাজারদরকে নিয়ন্ত্রণে আনছে না, তাদেরকে আমি শুধু একটি চ্যালেঞ্জ করে দিয়েছি। কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে এই দলের সক্ষমতা আছে, কারণ এই দল দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
অন্যান্য সংসদ সদস্যদেরকে অনুরোধ করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের একমাত্র ব্যবস্থা হল এটা। যে জনগণ ১৫ বছর আমাদেরকে ক্ষমতা রেখেছে, সেই জনগণের জন্য আমাদেরকে একটি মাস পরিশ্রম করে দেখা হবে, আমরা জনগণের জন্য, জনগণ আমাদের জন্য। দেশে মানুষের নৈতিকতা মানবিকতার কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। রমজান মাসে বিভিন্ন মুসলিম দেশে বাজারদর কমে যায়। আর আমার দেশের ব্যবসায়ীরা রোজার মাসে মাহে রমজানকে জিম্মি করে তারা উপার্জনের পথ বেছে নেয়।
এই সরকারের পতন না পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এই কথা শুনতে শুনতে আমাদের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে, এই কথা আমি বলবো না। সাধারণ জনগণের কাছে এটি একটি হাস্যকর কথায় পরিণত হয়েছে। তাদেরকে বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। লন্ডনের সুতার টানে বাংলাদেশের জনগণ কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যাবে না। জনগণের বিরুদ্ধে জনগণ যাবে না। জনগণ শেখ হাসিনার পাশে আছে। তাদের এত তারিখ ঘোষণার পরও জনগণ তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছে। দেশ একটি অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে চলতে চায় না।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরে উপস্থিত ছিলেন।