‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, জিম্মি সবাইকে উদ্ধার করেন’
‘আমার ছেলের ছোট ছোট তিনটা বাচ্চা। বউটা গর্ভবতী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন তিনি যেন আমার ছেলেসহ জিম্মি সবাইকে উদ্ধারে ব্যবস্থা করেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল্লাহর মা শাহনূর বেগম। আতিকুল্লাহ খান চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকার একটি বাসায়।
আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আবদুল্লাহ খান আসিফ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে তারা জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারেন। শুনেই তারা কেএসআরমের অফিসে ছুটে যান। কর্তৃপক্ষ তাদের নাবিকদের উদ্ধারে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আতিকুল্লাহ খানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। ৬টার দিকে একটি ভয়েস ম্যাসেজে তিনি জানিয়েছেন তাদের থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। বাংলাদেশের সময় দুপুর ১২টার দিকে জিম্মি হলেও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা।
জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিকের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। জিম্মি নাবিকদের স্বজনদের বুধবার কার্যালয়ে ডেকেছে কেএসআরএম।
কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। পথে ভারত মহাসাগরে সেটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি এখন জলদস্যুদের হাতে রয়েছে। জাহাজে রয়েছেন আমাদের ২৩ জন ক্রু। আমরা যতদূর জেনেছি, এখনও ক্রুদের কেবিনে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। মালিকপক্ষ জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে।’