মেঘনায় ট্রলারডুবি : কনস্টেবলের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। আজ শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শেখ রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও তার মেয়ে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা ও ছেলে রায়সুল। ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
এর আগে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ভ্রমণতরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আটজন নিখোঁজ হয়। পরে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।