বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু দুদকের
পুলিশের সাবেক আলোচিত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে দুদক তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটিও গঠন করেছে। এ কমিটি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুদক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
এ বিষয়ে দুদকের সচিব সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও দুদক অনুসন্ধানে এতটা সময় ক্ষেপণ করলো কেনো? আপনারা চাপে পড়েই কি অনুসদ্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, এটা মোটেও ঠিক না। আমরা সময় ক্ষেপণ করিনি। আমাদের অফিসিয়াল প্রস্তুতি নিতে সময় নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
এর আগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল রোববার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়।
গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক।