গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে নীতি প্রণয়ন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
সারাদেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা বন্ধ ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে ৯ শতাংশ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়। ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই।
তাই এই নোটিশ পাওয়ার পর তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধি বা নীতিমালার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে নোটিশে ‘দাবদাহের বিপদে রাজধানীর ৯০% এলাকা’, ‘সারা দেশে গাছের জন্য হাহাকার, অথচ কুষ্টিয়ায় কেটে ফেলা হচ্ছে ৩ হাজার গাছ’ ও ‘কুষ্টিয়ার সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল বন বিভাগ’—শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।