সহকর্মীকে গুলি করা কাউসার মানসিক রোগী, দাবি পরিবারের
রাজধানী ঢাকার কূটনীতিকপাড়ায় দায়িত্ব পালনকালে কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কনস্টেবল কাউসার আহমেদ মানসিক রোগী বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
কাউসার আহমেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে কাউসারের স্ত্রী নিলুফা খাতুন জানান, তাঁর স্বামীর ঘটনাটি শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ফোন করে জানান তাঁকে। এ ঘটনা শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবে বিষয়টি তার ৮০ বছরের বৃদ্ধ শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি। এ খবর শুনলে তিনি সহ্য করতে পারবেন না বলে জানানো হয়নি তাঁকে। তবে বিষয়টি তাঁর শ্বশুরকে না জানালেও তার শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানান তিনি। মাবিয়া খাতুন তাঁর ছেলের এমন ঘটনার খবরে ভীষণ ভেঙে পড়েছেন।
নিলুফা আরও জানান, কোরবানির ঈদে তাঁর স্বামী বাড়ি আসবেন। এজন্য ছুটির আবেদনও করেছেন। তাঁর স্বামী একজন মানসিক রোগী। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হওয়ার পর থেকে তিনি জানেন কাওসারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। চাকরিরত অবস্থায় সরকারিভাবেই তাঁকে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়া হয়। একবার চাকরি ছেড়ে চলে আসেন বাড়িতে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার যোগদান করেন চাকরিতে। নিলুফা বলেন, কাওসার মানসিক সমস্যায় থাকলেও পরিবারে কখনও ঝামেলা ছিল না। সব কিছু ঠিকঠাকমতোই চলছিল। ঘটনার দিন শনিবার রাত ৮টার দিকেও তাঁদের কথা হয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেও কথা বলেছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবেন। কিন্তু এমন দুঃসংবাদ তাদের সবকিছু যেন ওলট-পালট করে দিল।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর কূটনীতিকপাড়ায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করে তাঁরই সহকর্মী কাউসার।