সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে গরুর হাটের কার্যক্রম
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে গরুর হাটের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে মুক্তারপুর সেতু সংলগ্ন তিতাস গ্যাস কার্যালয় এলাকায় দেখা যায়, হাটের স্বেচ্ছাসেবীরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে ঢাকা-মুক্তারপুর-টঙ্গিবাড়ী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এসময় অটোরিকশা আরোহী সুমিত সরকার বলেন, ‘আমি প্রতিদিনকার মতো পেশাগত কাজে মুক্তারপুর সেতু থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরে আসার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠি। পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে তিতাস গ্যাস কার্যালয়ের সামনে থেকে আমাকে বহনকারী অটোরিকশাটি কয়েকজন যুবক আটকে দেয়। জানতে চাইলে তারা নিজেদের গরুর হাটের লোক বলে জানায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে বাঁশি ও কাঠের লাঠি ছিল। একইসময় আমার মতো আরও ৫-৭টি গাড়িকে তারা এই পথ থেকে ফিরিয়ে দেয়। তাদের এরূপ আচরণে আমি হতভম্ব।’
মুন্সীগঞ্জগামী আরেক যাত্রী সাথী আক্তার বলেন, ‘যতটুকু জায়গা নিয়ে হাট বসানোর কথা তার থেকে বেশি এলাকা নিয়ে হাট বসানো হয়েছে। এরপর আবার তাদের সুবিধার জন্য সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কতটা ক্ষমতাবান হলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব করা সম্ভব।’
সদর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবছর মুক্তারপুর গরুর হাটটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় ইজারা নেন পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আব্দুল মতিন।
জানতে চাইলে মুক্তারপুর পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমরা কোন সড়ক বন্ধ করিনি। আমরা সড়ক যাতে সচল থাকে সেই ব্যবস্থা করেছি।’
কোরবানির গরু ক্রেতা সাইফুর রহমান টিটু জানান, গতকাল আমি গরু কিনেছি কিন্তু ৬% হাসিল নিয়েছে। নেওয়ার কথা ৫%। তাদেরকে আমি ৫% দিতে চাইলে তারা রাজি হয়নি। ৬% হাসিল দিতে হবে এটা নাকি তাদের নিয়ম।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিফা খান বলেন, ‘সড়ক বন্ধ করে হাটের কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হলে প্রমাণ লাগে। আমাদের এসিল্যান্ডকে পাঠিয়েছি। তিনি কাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ছিলেন। এ রকম কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।