আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বাবু ফের কাশিমপুর কারাগারে
কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক।
গ্যাস বাবুকে আজ সোমবার (১ জুলাই) সকালে ঝিনাইদহ কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে পুলিশ পরিদর্শক আমান উল্লার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি দল প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যায়। বিকেলে কাশিমপুর কারাগার-২ হস্তান্তর করা হয় তাঁকে।
খবর নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার। এর আগে ২৫ জুন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস বাবুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে আনা হয়।
এরপর ২৬ জুন জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে গাঙুলি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পেছনে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাবুর দেখানো স্থানে স্থানীয় ডুবরি, জেলে ও পৌরসভার পরিছন্নকর্মীদের নামিয়ে জাল টেনে বাবুর মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম সংলগ্ন পুকুরে জেলে নামানো হয়। প্রথমে জাল টেনে এবং পরে ডুবিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করে তারা। কিন্তু দুই স্থানের কোনোটিতে তাঁর মোবাইল ফোনের সন্ধান মেলেনি।
জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক আযমের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান, ঢাকা ডিবির ১০ সদস্যের একটি দল অভিযানটি পরিচালনা করে।
অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে মানুষের ঢল নামে। পরে বিপুল পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা করা হয়।
আনার অপহরণ মামলায় গত ৫ জুন ঝিনাইদহ শহরের নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় বাবুকে। পরের দিন ৬ জুন গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে। এরপর আট দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। ওই জাবান বন্দিতে মোবাইল ফোনে কিলার গ্রুপের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। যে কারণে মোবাইল ফোন তিনটি উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
একটি সুত্র জানায় আগামী ৪ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন আদালতে আনার অপহরণ মামলার দিন রয়েছে। গ্যাস বাবুসহ অন্য আসামীদের ওই দিন সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করা হবে।