মোংলায় জেলা পরিষদ সদস্য, ২ পৌর কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্লট দখলের অভিযোগ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া প্লট জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্যসহ তিন পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার পেছনে বন্দর থেকে চার ব্যবসায়ীর নামে বরাদ্দ দেওয়া চারটি প্লট জবর দখল করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্লট মালিক ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে ব্যবসা করার জন্য মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৫৪ দাগের প্লট বরাদ্দ পান ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান মল্লিক, মো. হাবিবুর রহমান, সাহেব আলী মল্লিক ও মো. নুরু মিয়া। সেই থেকে তাঁরা নিয়মিত বন্দর কর্তৃপক্ষের ধার্য করা খাজনাও পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দুর্যোগ চলাকালীন রাতের আঁধারে জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল শিকদার, পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজনু গাজী, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী মো. মাহাতাব তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই প্লট দখল করেন। জবর দখলের খরর পেয়ে ভুক্তভোগীরা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আফজালুর রহমান ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে দখলকারীদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তাঁদের নির্দেশের কোনো তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী ওই দখলদার চক্রটি সেই প্লট দখলের পাশাপাশি সেখানে বিশাল স্থাপনা গড়ে তুলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান মল্লিক, মো. হাবিবুর রহমান, সাহেব আলী মল্লিক ও মো. নুরু মিয়া বলেন, পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান এর সঙ্গে অবশ্যই জড়িত। তাঁর যোগসাজসেই এই প্লট জবর দখল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই এবং আমার কাউন্সিলররা জড়িত কি না; তা আমার জানা নেই। যদি বরাদ্দ করা প্লট দখল হয়ে থাকে তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী মো. মাহাতাব বলেন, ‘আমি কিংবা আমরা কেউই কারো কোনো প্লট দখল করিনি।’
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ‘দখলকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।‘