কুমিল্লায় ৮ মামলায় আসামি প্রায় আট হাজার, গ্রেপ্তার ১৫৫
কাটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিসংতার ঘটনায় কুমিল্লায় আট মামলায় প্রায় আট হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনে এসব মামলায় ১৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় উঠে আসে পুলিশের দুটি ও বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা।
গ্রেপ্তার হওয়া সবাই বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদিকে মামলা-হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
সদর দক্ষিণ মডেল থানায় তিনটি, কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি, দাউদকান্দি থানায় দুটি এবং বুড়িচং থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আটটি মামলার মধ্যে ছয়টির বাদী হয় পুলিশ।
সদর দক্ষিণ থানায় ৩৪ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত পরিচয় সাড়ে সাত হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। বুড়িচং থানার মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৪০ জনের নামে মামলা করা হয়। দাউদকান্দি থানায় দুটি মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২৮০ জনকে আসামি করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। তিনি জানান, সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিন ১৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের বেশির ভাগ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ রতন, মহানগর জামায়াতের দপ্তর সম্পাদক আবুল হাশেম, মগহানগর জামায়েত যুগ্ম নায়েবে আমির মহিউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে মামলা-হামলার ভয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন ভয়ে বাড়িতে থাকেন না। নেতাকর্মীদের দাবি দল করার অপরাধে তাদের মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আলম রায়হান জানান, সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ১৯ জুলাই শান্তিপূর্ণ মিছিল করার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। সে সময় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায় এবং কুপিয়ে আহত করে। ভাঙচুর করা হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিনের নিমতলীর বাসা ও নবাব বাড়ি চৌমুহনীতে অবস্থিত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর ব্যক্তিগত অফিস। এ সময় ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও ২০ জন। এসব ঘটনায় উল্টো যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিএনপির দুই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।