অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ তৈরিতে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে
দেশের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জনে এবং রোহিঙ্গাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাজ্য কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ তৈরিতে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতের সময় একথা বলেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন মো. তৌহিদ।
হাইকমিশনার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ তৈরিতে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক এবং অভিন্ন কমনওয়েলথ মূল্যবোধের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
সারাহ কুক বলেন, ‘বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার ও বন্ধু হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানায় যুক্তরাজ্য। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের আহ্বানে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য আরও অনেকের সাহসিকতাকে আমরা স্বীকৃতি দিই।’
সারাহ কুক আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ পথ রচনায় কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।’
এর আগে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগকে স্বাগত জানায় যুক্তরাজ্য। এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন রয়েছে।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জবাবদিহিতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ পথ বাংলাদেশের জনগণ প্রাপ্য।