১১ বছর পর মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যা মামলা
১১ বছর আগে যশোর উপশহর এলাকায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল হত্যার ঘটনায় যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত বুলবুলের ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল হত্যায় এর আগে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বাদীর আইনজীবী গাজী এনামুল হক জানান, মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপশহর সি-ব্লক এলাকার মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার সেতু, লিটন ওরফে হাঁস লিটন, ঘোপ বউ বাজার এলাকার টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার তামিম, সিরাজ সিনহা গ্রামের কামরুল ও বরাত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদী মামুনুর রশিদ বেড়াতে যান বুলবুলের বাসায়। বাড়িতে ঢোকার সময় তিনি দেখতে পান বাড়ির বাইরে রাস্তায় মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ আসামিরা অবস্থান করছেন। বাড়ির ভেতরে গিয়ে তিনি বুলবুলকে কমপিউটারে বসে কাজ করতে দেখেন। এর কিছু সময় পর মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত বুলবুলকে সঙ্গে সঙ্গে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এবং পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় সে সময় স্বজনদের কেউ মামলা করতে সহস করেননি বলে জানান বাদী।