অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে : হাইকোর্ট
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে। সব অপরাধের বিচার হবে। ছাত্র-জনতাকে যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে, গুলি করেছে তাদের বিচারের বিষয়ে সরকার খুব আন্তরিক। গুলির নির্দেশ দিয়েছে ব্যক্তি। অপরাধ ব্যক্তি করেছে দল নয়।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ সময় রিটকারি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদেশ চাইলে হাইকোর্ট বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। সব অপরাধের বিচার হবে।
জবাবে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া আদালতে বলেন, ‘রিটের সময় পক্ষ হিসেবে আওয়ামী লীগকে চিঠি দিতে পারিনি। তাই ফেরত নিতে চাই।’ শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী আছেন। তারা কতদিন থাকবেন, সেটা আদালতের আদেশের জন্য নিয়ে আসার বিষয় না। রিটের এই বিষয়টি মেইনটেবল না। তাই রিট সরাসরি খারিজ করা হোক।’ পরে আদালত শুনানি শেষে রিটটি খারিজ করে দেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে শেখ হাসিনা রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি দায়ের করেন।
রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।