জাদুঘরে কী কী থাকবে জানালেন উপেদেষ্টারা
গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক পরিদর্শন করেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এ পরিদর্শন করেন তারা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পরিদর্শন করেন।
এ সময় গণভবন ঘিরে তাদের পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রনায়ক আসলে কি পরিণত হয় এবং জনগণই যে আসল মালিকানার এবং ক্ষমতার মালিক; সেই বিষয়টিকে একটি নিদর্শন হিসেবে পুরা পৃথিবীর বুকে রাখার জন্যই আমরা এই গণভবনটিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মো. নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এটি আজকে আমাদের প্রাথমিক ভিজিট ছিল। এখানে যারা দায়িত্বরত আছেন গণপূর্ত এবং স্থাপত্য বিভাগের তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থেকে আমরা প্রাথমিক পরামর্শ নিয়েছি এবং আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো বলেছি, আমরা কীভাবে দেখতে চাই সেটি বলা হয়েছে। এছাড়া ফরমাল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই হয়তো কমিটি গঠন হয়ে যাবে।
সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-সহিংসতাসহ নানা ঘটনা প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে উদ্যোগ নিচ্ছি। এটা যে গ্রহণযোগ্য নয় তা আমরা শুরু থেকেই বলছি।’
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ে যে গণঅভ্যুত্থান, সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় জনগণের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন, গুম ও খুনের যে স্মৃতিগুলো আছে সেগুলো সংরক্ষণ করে এই গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। পরে এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’
আজ প্রাথমিক পরিদর্শনে এসেছেন উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আজকে সেই উদ্দেশে প্রাথমিক ভিজিট (পরিদর্শন) করতে এসেছি। স্থাপত্যশিল্পী, আর্কিটেকচার ও জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে।’